বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

 বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম:

ভূমিকা: 

আজকাল জীবনযাত্রার মান যেভাবে বাড়ছে  বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে। তার জন্য আমরা সকলেই চাই নিজে কিছু একটা করে আত্মনির্ভরশীল হতে। আর ঘরে বসে আয়রোজগার করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। বর্তমানে অনেক তরুণ রা এবং মহিলারাও ঘরে বসে আর্টিকেল রাইটিং কাজ করছে।



একটি  ওয়েবসাইটে এর প্রাণ হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং।আর এই জন্য আমাদের প্রথমেই আর্টিকেল কি  তা জানতে হবে।

পেজ সুচিপত্রঃ

বাংলা আর্টিকেল কি:

কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখা ই হচ্ছে আর্টিকেল।আর সেই আর্টিকেল টি যদি বাংলাতে লিখা হয় তবে তাকে বাংলা আর্টিকেল বলে।


বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম:

আর্টিকেল লেখার অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে। তার মধ্যে থেকে প্রধান প্রধান বিষয় গুলো আলোচনা করা হলো আমার এই ওয়েবসাইটে।তো চলুন শুরু করা যাক।

সঠিক বিষয় নির্বাচন: 

আপনি যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন তা আগে নির্ধারণ করতে হবে। সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে আর্টিকেল লিখলে ভালো হয়। তাছাড়া লোক জন সারা বছর যে বিষয়গুলো নিয়ে গুগলে সার্চ দেয় সে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখলে ভালো হয়।

পর্যাপ্ত রিসার্চ করা: 

আপনি যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখলে চাচ্ছেন ।সে বিষয় নিয়ে রিসার্চ করার মানসিকতা থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনাকে একজন ভালো বক্তা হতে হলে আগে আপনাকে একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে। 

তাই আপনি যখন কোন বিষয় নিয়ে অধিক রিসার্চ করবেন তখন আপনি ঐ বিষয় ভালো ভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।

 প্রয়োজনীয় হেডিং তৈরি করা: 

একটি ব্লগ এর প্রাণ হচ্ছে যেমন আর্টিকেল রাইটিং, ঠিক তেমনি একটি আর্টিকেলের প্রাণ হচ্ছে আর্টিকেলের হেডিং। কেননা অনেক দর্শক ই হেডিং দেখে কন্টেন্ট পড়।প্রায় ১০ জনে ৮ জন ভিজিটর হেডিং দেখে কন্টেন্ট না পড়েই চলে যায়। 

তাই আপনাকে ভিজিটর দের কথা মাথায় রেখে এমন ভাবে হেডিং দিতে হবে যেন ভিজিটর আকৃষ্ট হয়ে আপনার কন্টেন্ট টি পড়ে। এবং হেডিং দেখেই যেন দর্শক মূল্য বিষয়বস্তু কি তা জানেন পারে।

 মূল বিষয় উপস্থাপনা:

হেডিং এর সাথে সম্পৃক্ত রেখে মুল বিষয় বস্তু উপস্থাপন করতে হবে। এতে করে পাঠক যেটি পড়তে চাই সেটি পড়ে স্বচ্ছ ধারণা পাবে।

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম:

গুগল এ রা্ঙ্ক করা জন্য SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা জরুরী।আর এ গুলো কি ভাবে লিখতে হবে চলুন জানা যাক

 সঠিক কি ওয়ার্ড নির্বাচন করা:

একটি আর্টিকেলের মেনে ফোকাস হচ্ছে তার কিওয়ার্ড। তাই আপনাকে কিওয়ার্ড নির্বাচনে সচেতন হতে হবে।

লেখার মধ্যে গ্যাপ রাখা: 

আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্ব নিয়ে লিখতে হবে। লেখার মধ্যে অতিরিক্ত গ্যাপ দিলে লিখবার সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
যে আর্টিকেল টি লিখবার সেটি যাতে এসব সি ও ফ্রেন্ডলি হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে গুগল রাঙ্ক করে তাড়াতাড়ি।SEO হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

সামারি লেখা:

আর্টিকেল কখনো পাতা ভরে এক সাথে সব লাইন করে লিখতে হয় না।এতে করে পাঠকদের আকর্ষণ কমে যায়। আর্টিকেল সবসময় প্যারা প্যারা করে লিখতে হয়।এক প্যারা  যেন ৩-৪ লাইন এর বেশি না হয়।

সহজ -সরল ভাষায় আর্টিকেল লিখতে হবে:

সুন্দর সাবলীল ভাষায় আর্টিকেল লিখতে হবে। যাতে করে পাঠক সহজেই আপনার ভাষা বুঝতে পারে। লেখার মধ্যে ভাষাগত জটিলতা আনা যাবে না । বানান সঠিক করে লিখতে হবে।

লেখার মধ্যে ষ্টোরি আড করা: 

লেখার মধ্যে এমন ভাবে  ষ্টোরি আড করুন  যাতে পাঠক মনে করে ঘটনাটি আপনার সাথেই ঘটেছে বা আপনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এতে করে পাঠক আপনার কন্টেন্ট পড়ার প্রতি আকৃষ্ট হবে।
*আরও পড়ুন সেকশন যুক্ত করা:
কন্টেন্ট এর মধ্যে আরও পড়ুন সেকশন যুক্ত করতে হবে। এতে করে পাঠক আকৃষ্ট হয়ে সেখানে ক্লিক করলে আপনার ইনকাম বাড়বে।

লেখার মধ্যে ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে হবে:

লেখার মধ্যে কন্টেন্ট রিলেটেড ইমেজ যুক্ত করতে হবে। তাহলে আর্টিকেল টি দেখতে সুন্দর লাগবে এবং পাঠক আকৃষ্ট হবে।

কমেন্ট সেকশন রাখতে হবে 

আর্টিকেল এর মধ্যে কন্টেন্ট সেকশন থাকলে ভিজিটর সেখানে এসে অতি সহজেই তাদের মতামত তুলে ধরতে পারবে। এতে করে তাদের কি চাওয়া পাওয়া এবং আপনার কোন জায়গায় কমতি তা বুঝতে পারবেন।

ভূমিকা সেকশন ও লেখকের মন্তব্য যুক্ত করতে হবে:

 আর্টিকেলের শেষ লেখকের গঠন মূলক পজেটিভ মন্তব্য থাকলে  পাঠকের  মনবল দৃঢ় হয়। পাঠক মনে মনে সাহস পায়।

বাংলা আর্টিকেল লেখক হিসেবে নিজেকে দক্ষ কিভাবে করবেন :

বেশি বেশি রিসার্চ করা:

একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি রিসার্চ করতে হবে। যে কোনো বিষয় নিয়ে আগ্রহ সহকারে গবেষণা করতে হবে।

বেশি বেশি বই পড়ে হবে:

একজন রাইটারের অনেক বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরী। তার জন্য আপনাকে একের অধিক রাইটারের বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে।

লেখায় নতুনত্ব আনতে হবে:

দক্ষ রাইটারের গুন হচ্ছে লেখার মধ্যে নতুনত্ব আনা।
তাই আপনি যদি দক্ষ রাইটার হতে চান।তাহলে আপনাকে। অনেক পড়াশুনা করে লেখার মধ্যে নিত্যনতুন শব্দ যুক্ত করতে হবে।

লেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা:

আপনি যত বেশি লেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন আপনার হাতের স্পিড তত বাড়বে। এবং বিভিন্ন প্রতিযোগীর কাজ শেয়ার এর মধ্যমে নতুন নতুন শব্দ জানতে পারবেন।

নিয়মিত লেখার অভ্যাস:

আপনার ওয়েবসাইটে আপনাকে নিয়মিত কন্টেন্ট লিখতে হবে। প্রতিদিন যেটুকু সময় আপনি পাবেন সেটুকু সময় আপনি আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে যান। এতে করে আপনার কাজের আগ্রহ বাড়বে।আর গুগল কাজকে পায়রেটি দেয় বেশি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এএন আইটি কেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url